নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মরদেহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলিফ মেডিক্যাল সার্ভিসেসের একটি লাশবাহী গাড়িতে করে চিওড়া গ্রামের ‘ফারাজ মঞ্জিল’ থেকে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা।
বাদ এশা ঢাকার গুলশানে আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে রাতেই বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন লতিফুর রহমানের গ্রামের বাড়ির এসিস্টেন্ট ম্যানেজার হুমায়ূন কবীর। এর আগে বুধবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রথম আলোর কর্ণধার লতিফুর রহমান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, দুই কন্যা, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
জানা গেছে, জীবনের শেষ সময়টা বেশির ভাগই গ্রামের বাড়িতে কাটানো লতিফুর রহমান গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অবস্থান করছিলেন। এ সময়টাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায়ই তার অক্সিজেন সিচ্যুরেশন কমে যেতো। বুধবার সকালেও হঠাৎ তার অক্সিজেন সিচ্যুরেশন কমে যায়। পরে দুপুর বারোটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লতিফুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার বাড়ির চারপাশে ভিড় জমাতে থাকেন মানুষজন। তাকে শেষবারের জন্য এক নজর দেখতে গ্রামবাসীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন চিওড়ার ‘ফারাজ মঞ্জিলে’। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা।